আমি_ভালোবাসা by Sufiuddin Ahmed
আমি_ভালোবাসা
|
আমি_ভালোবাসা
বহুদিন যাইনি তোর শহরে,
মুছে গেছে বোধহয়--
তোর হোস্টেলের পিছনের গলির বুকে
আমার পদচিহ্নের আস্ফালন।
হবেনাই বা কেন?
কত নতুনের রোজকার আনাগোনা যে।
মনে আছে? শহরের বামদিকের সেই পার্ক,
আর তার পাশের সুইমিং পুলটা......
শেষ যখন বসেছিলাম তার পাড়ে~
তুই বলেছিলি- ইস! কি নোংরা জল!!
এখন বোধহয় তা স্বচ্ছ নতুনে প্রতিস্থাপিত।
পার্কের পথে সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটায়......
বড়ো শখ করে লিখেছিলি দুজনের নামটা... ।
হঠাৎ যেদিন জানতে পারলি,
ওখানে নতুন ফ্ল্যাট উঠবে.........
খুব কেঁদেছিলি গাছটা জড়িয়ে ধরে।।
আজ সেখানে মস্ত ফ্ল্যাটবাড়ি.......
শত মানুষের কোলাহলে নেইকো তোর কান্না,
নেইকো সেই কৃষ্ণচূড়া।।
আর সেই......... সেই
গোলাপডালি সাজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা
পথের ধারের ছোট্ট মেয়েটা......
ওকি মনখারাপ করে.....?
আমি আর তার ফুল কিনিনে বলে.. ।
নাকি শত ফুলের মাঝে একটা অবিক্রিত গোলাপ
ফেলে দেয় সে আবর্জনার স্তুপে!!
বহুদিন পাশে বসিয়ে শোনায়নি আমার কবিতা..,,
যদিও সব লাইনে লাইনে এখন
এক অদ্ভুত বিষণ্ণতার ছাপ!
কি যেন একটা নেই নেই....
হয়তো শ্রোতা... হয়তো তুই!
বহুদিন যাইনি তোর শহরে ,
বহুদিন দেখিনি তোকে....
আজ বড়ো ইচ্ছে হয় তোর শহরে যেতে,,
তবে তোকে দেখতে ছুঁতে নয়।
সেই গলির বুকে দু-পা হেঁটে , পুরোনো পদচিহ্নে
জানান দিতে আমার অস্তিত্ব।
পুলটার স্বচ্ছ জলে দুটো পাথর ছুঁড়ে
দেখিয়ে দিতে হৃদস্পন্দন! আমি আছি!
সর্বত্র......ফ্ল্যাটের কোণে কৃষ্ণচূড়ার নবাঙ্কুরে,
ভালোবাসার প্রতিরূপে.. ।
আর হ্যাঁ ,
সেই ছোট্ট মেয়েটির কাছ থেকে কিনতে
আরো একটা রক্ত গোলাপ!
সকলকে বুঝিয়ে দিতে আমার প্রকটতা,
মুছে ফেলতে সব নীরবতা ।
ত্বারস্বরে গর্জে বলতে...... আজও আছি ~
আমি অমর , আমি মুক্তো আশা;;
আমি চিরন্তন, আমি ভালোবাসা !!!
- - - Sufiuddin Ahmed
Sufiuddin Ahmed |
0 Comments:
Post a Comment